দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে যেগুলোর নাম শ্রুতিমধুর নয় সেগুলোর নাম পরিবর্তনের করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। এই প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার নাম পরিবর্তনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অধিদফতর।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পলিসি ও অপারেশন পরিচালক খালিদ আহম্মেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে এমন কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম আছে যা শ্রুতিমধুর নয় এবং ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে সুশােভন নয়। যা নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরসের সৃষ্টি হচ্ছে।

এরূপ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে দেশের ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে শােভনীয় নামকরণের প্রস্তাব যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আগামী ৩০ আগস্ট, ২০২০ তারিখের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে প্রেরণ করার জন্য অনুরােধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে নাম পরিবর্তনের উদাহরণ স্বরূপ উল্লেখ করা হয়েছে, ইতোমধ্যে নীলফামারী জেলাধীন সদর উপজেলার ‘মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তন করে ‘মানুষ গড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ করা হয়েছে।

এর আগে, যমুনা টিভিতে সংবাদ প্রচারের পর পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয় নেত্রকোণার ‘চোরের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নাম। পূর্বধলা উপজেলার স্কুলটির নাম নিয়ে সংবাদ প্রচার করে যমুনা টেলিভিশন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নজরে আসে উপজেলা প্রশাসনের।

ফলে ৩০ বছর পর পরিবর্তন হতে যাচ্ছে ‘চোরের ভিটা’ স্কুলের নাম। ‘আলোর ভুবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নামে স্কুলটির নতুন নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।